বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তর-পূর্ব পত্রিকার সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আজিজ আহমদ সেলিমের বিশেষ আবেগ ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতেন। আপাদমস্তক সৎ এই মানুষটি অনাড়ম্বর জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের অহংকার-অলংকার। তিনি ধ্যান-ধারণায়ও কখনো কপটতার সুযোগ নেননি। সহজ-সরল এই মানুষটি আমাদের মধ্য থেকে চলে গেলেও তার আদর্শ ও স্মৃতি আজীবন আমাদের মাঝে জাগ্রত থাকবে।
গণমাধ্যম ও সমাজসেবামুলক সংগঠন সিলেট সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড মাসমিডিয়া-সিফডিয়া’র উদ্যোগে বিশিষ্ট সাংবাদিক-সংগঠক আজিজ আহমদ সেলিম স্মরণে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সিফডিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা
সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের সাবেক ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার ও সিফডিয়ার উপদেষ্টা মির্জা জামাল পাশা। সিফডিয়ার নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান আবদুল মুহিত দিদারের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-সিফডিয়ার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ আবদুর রশীদ। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি সেলিম আউয়াল, আজিজ আহমদ সেলিম-এর ছোট ভাই জাবের আহমদ চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সাবেক সভাপতি আবদুল বাতিন ফয়সল, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জাবেদ আহমদ, সাইক্লোনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সাদেক লিপন, ছড়াকার কামরুল আলম, দৈনিক সুদিন সম্পাদক বাদশা গাজী, কলামিস্ট আবদুল মুঈদ চৌধুরী ফরহাদ, কবি তাসলিমা খানম বীথি, আজিজ আহমদ সেলিম-এর কন্যা সামিরা আজিজ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি নাঈমা চৌধুরী। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কবি কামাল আহমদ। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা বলেন, ’৭৫-এর কালোরাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সুলতান মনসুরসহ আমরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম-সেই প্রতিরোধেও আজিজ আহমদ সেলিমের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি। -বিজ্ঞপ্তি